প্রতিটি মেয়েরই পিরিয়ড নিয়ে নানান রকম গল্প থাকে।আমার কথাগুলো অগোছালো হবে। কারন মাসিক সম্পর্কে আমার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই। আমাদের সময়ে মাসিক নিয়ে পাঠ্যবইয়ে কখনই লেখালেখি হত না। মাসিক ছিল নিদারুণ লজ্জার বিষয়।কেউ এগুলো নিয়ে কথা বলত না। এতসুন্দর স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যেত না। এমনকি প্যান্টিও পাওয়া যেতনা।আমরা কাপড় আর দড়ি ব্যবহার করতাম। তবে সেই কাপড় জনসম্মুখে নাড়া যেতনা। মক্তবে যাওয়া হত না৷ আবার মাসিক শেষে যখন মক্তবে যেতাম তখন কেনো কামাই দিয়েছি এই নিয়ে হুজুরের হাতে বেতের বাড়ি খেতাম। রোজার দিনগুলোতে সারাদিন না খেয়েই থাকতে হত। বিয়ের পর নতুন বাড়ি নতুন মানুষ আরো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে আমাকে।
এই কথাগুলো যেন গল্প তাইনা!এখনকার সময় এসব সবার কাছেই গল্প। দিন যাচ্ছে আর পিরিয়ড নিয়ে মানুষের ভাবনা ভিন্ন হচ্ছে। লেখালেখি হচ্ছে।পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।আমার মেয়ে পিরিয়ডকে কিছুই মনে করেনা।দিন যত যাচ্ছে সবাই উন্নত হচ্ছে ।তবে হ্যাঁ স্যানিটারি ন্যাপকিনের নামে যে দাম হাঁকানো হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। আর আরো মানুষের বিশেষ করে পুরুষের মাসিক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। এ ব্যাপারে ভুলটা বোধহয় আমাদেরই। আমরা মায়েরাই ছেলে সন্তানদের এইগুলো শেখাইনা। ফলশ্রুতিতে আমাদের দেশের অনেক পুরুষরাই পিরিয়ড নিয়ে ভুল ধারনা পোষণ করে। জ্যোতিকে অনেক ধন্যবাদ এই বিষয় নিয়ে এতো গুরুত্বপূর্ণ আরোপ করার জন্য আশা করছি জ্যোতির হাত ধরেই সর্বস্তরের মানুষের এই সাধারণত বিষয় নিয়ে পরিস্কার জ্ঞান থাকবে।আমি মনেকরি, পিরিয়ড নিয়ে আসলে গল্প লেখার কিছু নেই কারন প্রতিটা মেয়ের জীবনের অভিজ্ঞতাই একেকটা গল্প।
লেখক: তানজিলা খানম, গৃহিণী