প্রতিটি মেয়েরই পিরিয়ড নিয়ে নানান রকম গল্প থাকে।আমার কথাগুলো অগোছালো হবে। কারন মাসিক সম্পর্কে আমার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই। আমাদের সময়ে মাসিক নিয়ে পাঠ্যবইয়ে কখনই লেখালেখি হত না। মাসিক ছিল নিদারুণ লজ্জার বিষয়।কেউ এগুলো নিয়ে কথা বলত না। এতসুন্দর স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যেত না। এমনকি প্যান্টিও পাওয়া যেতনা।আমরা কাপড় আর দড়ি ব্যবহার করতাম। তবে সেই […]
আপনাদের সামনে আজ আমিই পৃথিবীর সকল মা, বোন আর সকল নারীর প্রতিনিধি হিসেবে তাদের জীবনের এক অপ্রকাশিত সত্য গল্প তুলে ধরবো। একজন মেয়ে যখন সবে ১১ থেকে ১২/১৩ বছরে পা দেয়, অর্থাৎ যখন শৈশবের গণ্ডি পেরিয়ে কৈশোরে পা দেয় তখন ই তার পরিচয় ঘটে ছয় বর্ণের শব্দ PERIOD বা মাসিক এর সাথে। একবার ভাবুন তো?
রিয়ানা এবারে নবম শ্রেণিতে উঠেছে। প্রতিদিন রিয়ানা স্কুলে যায়। শিক্ষকরা রিয়ানাকে খুব ভালোবাসে। তার কারণ,রিয়ানা যেমন মেধাবী তেমন সাহসী আর বুদ্ধিমতি। একদিন রিয়ানার স্কুলে একটি বড় গাড়ি আসলো। সব ছাত্র-ছাত্রীরা উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে। গাড়ি থেকে কিছু লোক নেমে গাড়িতে থাকা জিনিসপত্র নামালো। রিয়ানা খেয়াল করলো গাড়িতে পোস্টারে সেনোরা প্যাডের বিজ্ঞাপন দেওয়া। রিয়ানা ধারণাও করেছিলো
সালটা ২০১৫। রাবি তে ইভিনিং প্রোগ্রামে মাস্টার্স করছি। ফার্স্ট সেমিস্টারের প্রেজেন্টেশন ছিল সেদিন। ম্যাম গ্রুপ করে দিয়েছিলেন। আমার গ্রুপে আমার অনার্সের কোন বন্ধু ছিল না, যারা ছিল সকলের সাথে মাস্টার্স করতে এসেই পরিচয় তাই অতটা ফ্রিও হতে পারিনি। আমাদের অনার্সের মোট ৬/৭ জন ফ্রেন্ড আমরা রাবি তে ভর্তি হই কিন্তু সেই প্রেজেন্টেশন টা সবাই আলাদা
আমি একজন মেয়ে। তাই আমি গর্ববোধ করি।আমি মেয়ে,তাই আমি একজন মা হতে পারি। এইটাই সবচেয়ে বড় পাওনা আমার কাছে।।মা কতটা মধুর শব্দ। মা মানে ভালোবাসা। একজন মেয়ে যেদিন প্রথম পিরিয়ড হয়,, সেইদিন টা তেই সম্ভাব্যতা চলে আসে তার মা হওয়ার। আমি কিছু ঘটনা শেয়ার করবো। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই সব বলবো। ১. আমি তখন কলেজে
“পিরিয়ড” চারটি বর্ণের একটি ছোট শব্দ বাংলায়,যার সাথে জড়িয়ে আছে প্রতিটি মেয়ের অসহনীয়,অবর্ণনীয়,দুঃসহ কষ্টের গল্প,শরীরের ভিতরে ঘটে যাওয়া অসংখ্য ভাঙ্গাগড়ার খেলা। মেডিকেল সায়েন্সের ছাত্রী হওয়ায় খুব কাছ থেকে জানার সুযোগ হয়ছে এই পিরিয়ড,ম্যান্সট্রুয়াল সাইকেলের জটিল জটিল কিন্তু চমকজাগনীয় মেকানিজম সম্পর্কে।কি অবলীলায় প্রতিটি মেয়ের দেহের ভিতর ঘটে চলে আরেকটি প্রাণের বিকশিত হওয়ার পরিবেশ তৈরির প্রক্রিয়া।প্রতিমুহূর্তে ইস্ট্রোজেন,প্রজেস্টোরন
মা,আমার তলপেটে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। মা,কোনদিকে শুয়েই কিছু হচ্ছেনা।মা,গরম পানিতেও ব্যথা উপশম হচ্ছেনা।মা,আমি আর সহ্য করতে পারছিনা।প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখের মেয়েদের হৃদয়বিদারক কিছু বুলি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করি,পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম শব্দ হলো চার অক্ষরের একটি শব্দ “ঋতুস্রাব”।শব্দটি শুনলে ধারণা করা হয় কোনকিছু প্রবল বেগে নিঃসৃত হওয়া।বাস্তবের সাথে শব্দটির এ যেন এক অভূতপূর্ব মিল।ভাবতেই
পিরিয়ড! চারটি বর্ণে ঘটিত এক শব্দ। কত সহজ,সাবলীল উচ্চারণ। অথচ এর সাথে জরিয়ে আছে প্রতিটা মেয়ের সুখ-দুঃখ। কতটা অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে পার করতে হয় এই মূহুর্তকে। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস,রুপা সমাপনী পরিক্ষা দিয়ে নানী বাড়ি গিয়েছে। অনেক দিন থেকে সে লক্ষ্য করছে তার শরীরের অস্বাভাবিক পরিবর্তন। হঠাৎ করে ঘুমানো অবস্থায় তার প্রচণ্ড পেটের ব্যাথা শুরু
স্নিগ্ধা দত্ত : আমি- মা(শ্বাশুড়ি) আমার শরীর খারাপ (পিরিয়ড) হয়েছে। খুব পেট ব্যাথা করছে। মা- তাহলে শুয়ে থাকো, বিশ্রাম করো। আমি- বিছানায় শুয়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছি আর কান্না করছি। এইটা নতুন কিছু না, শুরু থেকে পিরিয়ডের প্রথম ২ দিন প্রচন্ড পেট ব্যাথা আমাকে কষ্টের শেষ প্রান্তে নিয়ে যায়। মা- এই নাও গরম দুধ আর চা। এইগুলো
পিরিয়ড নিয়ে আমাদের অনেক কৌতুহল তবে সচেতনতা নেই। খেয়াল করলেই দেখবেন স্কুলের ছেলে মেয়েরা বইয়ে এসব পড়লে হাসাহাসি করে । তার মানে পিরিয়ড হাসি তামাশার বস্তু? কোনো মেয়ের জামায় দাগ দেখলেই সেটা নিয়ে এক লঙ্কাকাণ্ড। কেনো?আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো এমন হয়ে যাচ্ছে কেনো..সাহায্য করার মন-মানসিকতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। একজন মেয়ে হওয়ার কারণে সে ১৩ বছর
